৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আটটি বিভাগীয় শহরের মোট ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সময়সূচি ও কেন্দ্রসমূহ
পরীক্ষা হবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে হলে প্রবেশ করতে হবে। এর পর গেট বন্ধ হয়ে যাবে, দেরিতে আসা কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও কেন্দ্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিপিএসসির ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে মেসেজের মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরীক্ষার কাঠামো
প্রশ্নপত্রে থাকবে ২০০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ)।
প্রতিটি সঠিক উত্তরে এক নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রতিটি ভুল উত্তরে কাটা যাবে শূন্য দশমিক পাঁচ (০.৫) নম্বর।
মোট সময়সীমা: দুই ঘণ্টা।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র থাকবে চার সেটে—১, ২, ৩ ও ৪। পরীক্ষার্থীরা যে সেটের উত্তরপত্র পাবেন, একই সেটের প্রশ্নপত্র তাদের দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা ও নিষেধাজ্ঞা
বিপিএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
বই, খাতা, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা কিংবা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস হলে আনা যাবে না।
পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে।
নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ হলে প্রবেশ করলে বা নকলের সঙ্গে জড়িত থাকলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
প্রবেশপত্র ছাড়া হলে প্রবেশের অনুমতি নেই। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে বিপিএসসির ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় ডাউনলোড করা যাবে।
বিশেষ সুবিধা
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক (scribe) দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তাদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ৫ মিনিট সময় পাবেন।
ইংরেজি ভার্সনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। তাই কোনো পরীক্ষার্থীর ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই নির্ধারিত কেন্দ্রে ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।