বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্ত করতে দেব না। না, একেবারেই না। এটা হবে না।”
তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ হয়েছে কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট—ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করতে পারবে না। তবে তিনি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন তা খোলাসা করেননি।
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক মুঈন রাব্বানি আল জাজিরাকে বলেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ইতিবাচক হলেও তিনি বাস্তবে কতটা তা কার্যকর করবেন, সেটি নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়।
এদিকে, ইসরায়েলের চরমপন্থী ডানপন্থী মন্ত্রীরা পশ্চিম তীর ও গাজা সংযুক্তিকে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে সামনে এনেছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও উগ্র ডানপন্থী নেতা বেজালেল স্মোত্রিচ কনেসেটে পশ্চিম তীর সংযুক্তির পক্ষে প্রস্তাব আনেন, যা ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ১৯৬৭ সাল থেকে অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) এ বসতিগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং তা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার প্রধান উৎস। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইসরায়েলের ডানপন্থী জোট সরকারের জন্য রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে।
গাজা প্রসঙ্গে ট্রাম্প সংক্ষেপে বলেন, পরিস্থিতি “খুব খারাপ, ভীষণ খারাপ” হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আছে বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, আরব দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।