← Back

রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য: চট্টগ্রামে সমন্বিত লজিস্টিকস হাবের পরিকল্পনা

রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য: চট্টগ্রামে সমন্বিত লজিস্টিকস হাবের পরিকল্পনা

বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে, চট্টগ্রামের বে টার্মিনালের কাছে একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিকস হাব (রেল, সড়ক ও সমুদ্রবন্দর সংযুক্ত) গড়ে তোলা হবে, যা দেশের বাণিজ্য-সহায়ক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত "বে টার্মিনাল ব্রেকওয়াটার প্রকল্প" এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের জন্য একটি সাবসিডিয়ারি ঋণচুক্তি সই হবে, যা আগেই ওয়াশিংটনে ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির ধারাবাহিকতা, বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি রোববার ঢাকায় ' দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস'  আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), কনভেয়র গ্রুপ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএএ), এ্যাংকোরেজ কন্টেইনার ডিপো লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ), সিঙ্গাপুরের পিএসএ ও ডিপি ওয়ার্ল্ড—এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি বে টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই টেন্ডার মূল্যায়নের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩৬ সালের মধ্যে বে টার্মিনালের মাধ্যমে ৫ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন টিইইউ হ্যান্ডলিং সক্ষমতা অর্জিত হবে, যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা ২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন টিইইউ হলেও বর্তমানে ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউ পরিচালনা করতে গিয়ে তা অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।

এই প্রকল্পটি সরকারি-সরকারি অংশীদারত্ব মডেলে বাস্তবায়ন হচ্ছে, যেখানে একটি লেনদেন উপদেষ্টা প্রয়োজন। তবে নিয়োজিত বিদেশি প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং ইতোমধ্যে সরে গেছে, এবং খরচ কমাতে এডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে।

প্রকল্পের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিপোর্ট অক্টোবরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং অন্তত একটি বে টার্মিনাল ডিসেম্বরের মধ্যেই ঠিকাদারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নিউ-মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল একটি স্বচ্ছ চুক্তির আওতায় অক্টোবরের মধ্যেই কোনো বৈশ্বিক অপারেটরের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।

জাতীয় লজিস্টিকস নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই নীতিমালাটি শিগগিরই সংশোধন করা হবে। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে দুটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই নীতির আওতায় একটি কর্মপরিকল্পনা এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে, যাতে এফই গোলটেবিল বৈঠক, বিশ্বব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মো. ইউসুফ আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরকে একীভূত করে একটি পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে খালি কনটেইনার অফডকে স্থানান্তর বা দ্রুত জাহাজে ফেরত পাঠাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একমত হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের অন্তত একটি কনটেইনার ট্রেন বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মাতারবাড়ী ফেজ-২ এর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নাধীন রয়েছে, যার মধ্যে একটি এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল এবং একটি নতুন সিপিএ ডকইয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত পোর্ট ট্যারিফ নিয়ে এখনও আলোচনার সুযোগ রয়েছে, এবং সিপিএ জানিয়েছে, অবকাঠামোর জন্য রাজস্ব বাড়ানোর প্রয়োজন থাকলেও শিগগিরই কোনো ট্যারিফ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই।

২০০৭ সালে স্থাপিত এনসিটির কিছু যন্ত্রপাতি এখন প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। এনবিআর, সিপিএ ও শিপিং মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বৃহত্তর পোর্ট সংস্কার নিয়ে কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, জাহাজ আমদানিতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়। তবে বিষয়টি এখনও আইএমএফের সম্মতির ওপর নির্ভর করছে।

শারীরিক অবকাঠামোতে অগ্রগতি সত্ত্বেও, মো. ইউসুফ উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ এখনও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ভারত ও ভিয়েতনামের তুলনায় পিছিয়ে আছে। ২০২৩ সালে মাত্র ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এফডিআই এসেছে, যার বেশিরভাগই বিদ্যমান বিনিয়োগ থেকে।

"লজিস্টিকস খরচ না কমালে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়বে না," তিনি সতর্ক করেন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের মহাপরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ বলেন, লজিস্টিকস নীতিমালা পুনঃপর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

 

"সংস্কার চলমান — সরকার চেষ্টা করছে, কিন্তু অগ্রগতি ধীরগতির," বলেন তিনি।

'দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে'র সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, লজিস্টিকস খাত যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই খাতকে প্রয়োজনীয় উৎসাহ দিতে তার পত্রিকা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, "লজিস্টিকস খাতে দক্ষতা বাড়লে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর ফলে ভোক্তাপর্যায়ে খরচও কমে আসবে।"

তিনি আরও জানান, গোলটেবিল আলোচনায় উঠে আসা মতামতের ভিত্তিতে ' দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস' নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করবে।

বাংলাদেশ ওশানগোয়িং শিপওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আজম জে. চৌধুরী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার নীতিনির্ধারণী প্রক্রায় বেসরকারি খাতকে যথাযথভাবে যুক্ত করছে না।

তিনি বলেন, "উন্নত লজিস্টিকস খাত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সক্ষম হবে।"

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিদেশি অপারেটররা ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনশক্তিকে আধুনিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের অনুশীলন শেখাতে সাহায্য করতে পারে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো আলোচনা বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা ছাড়াই ৪০ শতাংশ চার্জ বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, কেন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য থাকবে? তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত বে টার্মিনাল চালু করার পাশাপাশি মংলা ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহারের ওপর জোর দেন। হাতেম আরও বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট মোকাবিলা, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করা রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের লজিস্টিকস শিল্প এখনো বিকাশমান। দেশের অবকাঠামো নির্মাণে লজিস্টিকস বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না, যা অবকাঠামোগুলোর সঠিক ব্যবহারে বাধা দেয়।

বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান বলেন, বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেল করতে ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগে, যেখানে আন্তর্জাতিক মান ১ থেকে ২ দিন। তিনি জানান, প্রায়শই তাদের ক্রেতার চাহিদা পূরণের জন্য আকাশপথে পণ্য পাঠাতে হয়, যার খরচ সমুদ্রপথের চেয়ে চার গুণ বেশি।

বিজিএপিএমইএর সভাপতি এমডি শাহরিয়ার অভিযোগ করেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি ট্রাককে ৫০-২০০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। বন্দরের বিলম্বের কারণে ট্রাকগুলোকে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে হয়, যা রপ্তানিকারকদের খরচ বাড়ায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের আচরণ এমন যে তারা নিজেদের সিঙ্গাপুর বন্দরের কর্মকর্তা মনে করেন, যদিও বাস্তবতা অনেক খারাপ।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো খরচ আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে বেশি, যখন ভিয়েতনাম এর মতো দেশগুলো সংস্কারের মাধ্যমে খরচ কমিয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'একাধিক পরিবহন মন্ত্রণালয় থাকলেও কোনোটিই মাল্টিমোডাল রূপান্তর কার্যকরভাবে পরিচালনা করে না।'

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সম্প্রতি বন্দর চার্জ বৃদ্ধির সমালোচনা করেন, যা অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও চার্জ বৃদ্ধির একটি শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বার্থ-অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত কন্টেইনার এজেন্টদের নেওয়া উচিত। তিনি সতর্ক করেন যে চট্টগ্রাম বন্দর তার সর্বোচ্চ সক্ষমতায় পৌঁছেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিকল্প সমাধান প্রয়োজন।

এদিকে, সরকার অবকাঠামো সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, লজিস্টিকসকে একটি খাত হিসেবে উন্নয়নে বাংলাদেশ 'পাঁচ দশক পিছিয়ে' আছে, কারণ সম্প্রতি লজিস্টিকস নীতি কাঠামো শুরু হওয়ার আগে এটিকে কখনো সঠিক নীতি, নিয়ন্ত্রক কাঠামো বা বাজার উন্নয়নের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, মার্কিন শুল্ক এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে উচ্চ রপ্তানি ও উৎপাদন খরচ লজিস্টিকস দক্ষতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে। জাতীয় লজিস্টিকস নীতি প্রণয়নে বিলম্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর প্রণয়নের পর থেকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এক দশক পিছিয়ে আছে।

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে এটিকে কেবল সরকারি পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বেসরকারি অপারেটরদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সেমিনারে তিনি বলেন, "দক্ষতা বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।"

'লজিস্টিকস ল্যান্ডস্কেপে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং সামনের পথ' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ-এর অধ্যাপক ড. মামুন হাবিব বলেন, বৈশ্বিক লজিস্টিকস র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ তার দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে। ২০২৩ সালে বিশ্ব ব্যাংকের লজিস্টিকস পারফরম্যান্স ইনডেক্স এ ভারতের অবস্থান ছিল ৩৮তম এবং শ্রীলঙ্কার ৭৩তম, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম। 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "একটি স্মার্ট, স্থিতিশীল এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই লজিস্টিকস ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে অবশ্যই অটোমেশন, নৈতিক অনুশীলন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নকে গ্রহণ করতে হবে।" একইসঙ্গে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ, শুল্ক বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও বেশি সমন্বয়ের আহ্বান জানান।