রাজশাহীর জেলখানা সংলগ্ন পদ্মার পাড়ে আজ ভোরে গ্রামবাসী জালের ফাঁকে এক বিশালাকৃতির মা রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) দেখতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায়, তার শরীর থেকে বের হতে শুরু করে একের পর এক সাপছানা—সংখ্যায় মোট ৩৫টি। এ দৃশ্য দেখে আতঙ্কে চিৎকার শুরু হয় চারপাশে।
পদ্মা পাড়ে মুহূর্তেই ভিড় জমে যায়। শিশু ও নারীরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন। অনেকে বলছিলেন—“এতগুলো বাচ্চা যদি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে মানুষের জীবন কতটা ঝুঁকির মুখে পড়ত কল্পনা করা যায় না।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রা বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মা সাপটিকে পেটাতে শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত নিধন করেন। পরে এলাকাবাসী বাচ্চাগুলোকেও ভয়ে মেরে ফেলেন বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ংকর ও প্রাণঘাতী বিষধর সাপগুলোর একটি। এ সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধে, মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হয়, কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয়। দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের নদীপাড়, চর এবং কৃষিক্ষেত্রে এ সাপের উপস্থিতি বেশি।
স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ঘটনায় মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পদ্মার চরাঞ্চল ও নদীপাড়ে চলাফেরার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি বলে তারা মনে করেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা এত ভয়ংকর দৃশ্য জীবনে দেখিনি। মনে হচ্ছিল, পুরো এলাকায় সাপ ছড়িয়ে পড়বে। তাই সবাই মিলে একসাথে সাপটা মেরে ফেলেছি।”
ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়ানোই সবচেয়ে জরুরি।