রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা এটি করছি আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য। তাই যুদ্ধ চালানো ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই।” তিনি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। ট্রাম্প নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছিলেন, রাশিয়া এখন একটি “কাগুজে বাঘ” এবং ইউক্রেন যুদ্ধ জেতার সক্ষমতা রাখে।
পেসকভ পাল্টা দাবি করে বলেন, ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের কোনো সুযোগ নেই। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে “প্রায় শূন্য ফলাফল” আখ্যা দেন। গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের পরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির কোনো দৃশ্যমান ফল আসেনি।
এদিকে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিরক্ষা ব্যয় মেটাতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ২০ থেকে ২২ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি মন্দার দিকে যাচ্ছে এবং চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যেখানে গত বছর তা ছিল ৪.৩ শতাংশ।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও ড্রোন প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। ন্যাটো ইতোমধ্যে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে, জোটের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি “আয়রনক্ল্যাড” বা অটল।
অন্যদিকে, ইউক্রেন রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। বুধবার বাশকোর্তোস্তান অঞ্চলের একটি গ্যাজপ্রম কারখানায় হামলার পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর আগে দক্ষিণ রাশিয়ার নভোরোসিস্ক শহরে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন নতুন এক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, যেখানে সামরিক সংঘাতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনও তীব্র হচ্ছে।