রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মিলল নতুন মিথেন গ্যাসের উৎস। স্থানীয়রা নদীর পানিতে ও তীরবর্তী বালিতে বুদবুদের মাধ্যমে গ্যাস নির্গমন লক্ষ্য করেন। পানি কমার পর গ্যাস নির্গমনের স্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে বালি উপর আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও বাপেক্সের জিওলজিস্ট টিম এলাকায় পাঠানো হয়। বাপেক্স টিম নদীর তীর ও বিপরীত পারে অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে বুদবুদের উৎপত্তি খুঁজে পান ও গ্যাস সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে গ্যাসের পরিচয়—মিথেন। আরও ল্যাব টেস্টে নিশ্চিত করা হবে; এর উৎস খনিজ গ্যাস না উদ্ভিদ ও মাটির পচনজাত অল্প পরিমাণ গ্যাস—তা নিরূপণ হবে গবেষণায়।
এটা প্রথম নয়—পদ্মা, যমুনা, তিস্তা ও দেশের বড় নদী এলাকায় গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে আগেও গবেষণা হয়েছে। রাজশাহীর এই নতুন উৎস দেশীয় জ্বালানি খাত, পরিবেশ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বেও নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
ইউএনও ও প্রশাসন ইতিমধ্যে এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণা করেছে। গবেষণা না শেষ হওয়া পর্যন্ত আগ্রহীদের প্রবেশে সতর্কতার আহ্বান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা ও সম্ভাবনার প্রত্যাশা—অবশ্যই নিরাপত্তা-নিরীক্ষার পরই কোন স্থায়ী সিদ্ধান্ত আসবে।
বাপেক্স জানিয়েছে—পর্যাপ্ত মজুদ থাকলে ভবিষ্যতে উত্তোলনের সম্ভাবনা পরিবার, জ্বালানি ও পরিবেশনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আলোচিত পদ্মাপাড়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও জ্বালানির গবেষণাক্ষেত্রে স্থায়ী গুরুত্ব রেখে যাবে এ সন্ধান।