নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী ও ডিএনএ–গবেষণার পথিকৃৎ জেমস ওয়াটসন ৯৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন জীববিজ্ঞানের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের নায়ক—১৯৫৩ সালে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে যৌথভাবে জীবনের রহস্যঘেরা দ্বি-সীপী গঠন আবিষ্কার করেন, যার জন্য ১৯৬২ সালে নবেল পুরস্কার লাভ করেন।
“আমরা জীবনের গোপন রহস্য খুঁজে পেয়েছি”—ওয়াটসন ও ক্রিকের এ আবিষ্কার খুলে দিয়েছে আধুনিক জৈবপ্রযুক্তির দিগন্ত। ডিএনএ নিয়ে তাঁর বই The Double Helix বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিল।
তবে তাঁর জীবনচরিত শুধু বিজয়গাঁথা নয়, বহুমাত্রিক বিতর্কও বিদ্যমান। রেস-জেন্ডার বিষয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ওয়াটসনকে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এবং কর্মস্থল কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবের সব পদ হারান। ২০১৪ সালে তিনি বিরূপ পরিবেশে নিজের Nobel পদক নিলামে বিক্রি করেন।
ডিএনএ আবিষ্কারে মানুষের অবদানে নারীদের স্বীকৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক ছিল। কিঞ্চিৎ 'রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন' এর ভূমিকা—যার থেকে তথ্য নিয়েই খ্যাত ডবল হেলিক্স তৈরী—আজ স্বীকৃত, যদিও তাঁর জীবদ্দশায় প্রাপ্য মূল্যায়ন পাননি।
জেমস ওয়াটসনের উত্তরাধিকার জেনেটিক্স, ক্যানসার রিসার্চ, নিউরোবায়োলজি ও জীববিজ্ঞানের হাজারো নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যদিও ব্যক্তির ভাষ্য ও মানসিকতা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা বিদ্যমান।
তাঁর মৃত্যুতে বৈজ্ঞানিক মহলে শোক—তাঁর অর্জন ও বিতর্ক ভবিষ্যৎ গবেষণা ও মানব-স্বপ্নের জায়গায় চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।